বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বীর চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান নাদিম চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই নরসিংদীর মনোহরদীতে ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা সংগ্রামের গল্প: ভোলার সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার একজন নেতা, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা কটিয়াদীতে ৬ ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেফতার মির্জাপুরে স্কুল শিক্ষক বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগে পুনর্মিলনী উপলক্ষে আহ্বায়ক কমিটি গঠন চুক্তি মেনেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে: ভারত ইপিজেড ক্লাবের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কদমতলী থানার কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে
সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়।

এদিন সূর্যদ্বয়ের প্রথম প্রহরে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।

পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস- এর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢল নামতে শুরু করে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে দলবদ্ধ ভাবে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দলীয় বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে তারা। সেই থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

এর আগে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com